কবি বন্ধুরা বলে, কবিতায় ডুব দাও


কবি বন্ধুরা বলে, কবিতায় ডুব দাও।

ডুব কেন? আমি নিমজ্জিত হয়েই থাকতে চাই।

ছেলে বলে, মা বাথরুমের বেসিন আর মেঝেটা ঝকঝক করলে আমার খুব ভালো লাগে।

বর বলে, ডায়েট চার্টটা এখনো বানিয়ে দিলে না!

বারান্দার রেলিঙে বসা পায়রাটা বলে, আজ একটাও বিস্কুট দাওনি!

শাশুড়িমা বলেন, গরমের ছুটি, পুজোর ছুটি, বড়দিন সব চলে গেলো, ঠিক আছে যেদিন ইচ্ছে হয় আসিস।

বাবা বলেন, বড্ড দূর! বাড়িটাই বদলে ফ্যালো।

মা বলে, তুই লেখাপড়াটা একেবারে ছেড়েই দিলি?

কাজের মেয়ে, বৌদি কেকটায় বড্ড মিষ্টি দিয়েছো!

কলিগরা বলে, তুমি পি এইচ ডি টা বরং করেই নাও।

আঁকার দিদি বলেন, ইস! ঠোঁটটা সেই-ই ভুল হচ্ছে! রোজ রাতে শোওয়ার আগে খাতায় একবার হলেও পেন্সিল দিয়ে আঁচড় কেটো।

নাচের ম্যাম? উফ! আবার স্টেপ মিস?

ঘরের আয়নাটা বলে, এতো স্নেহপদার্থ নিয়ে তুমি করবেটাই বা কী?

বন্ধুরা বলে, তুমি ঘরকুনো হয়েই থেকো।

খেয়াল হলো, এইরে যাঃ ওবেলার মাংসটার জন্যে নুন লেবুটা তো মেখে রাখা হয়নি!

আমি নিজেকে বলি, তোমার শুধু নিমজ্জন কি মানায়?

“তুমি তো তেমন গৌরী নও”।

Comments

Popular posts from this blog

অন্ধকারের উৎস হতে

সবজিওয়ালা - ২

কুলকুলতির ব্রত