Posts

Showing posts from April, 2016

নববর্ষ

সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে খিড়কি দরজা দিয়ে বেরিয়েই দেখতাম পুকুরে জাল দেওয়া হচ্ছে। কারণটা জানার আগেই এক দৌড়ে ছুট্টে চলে যেতাম পুকুর পাড়ে। পাড়ে দাঁড়িয়ে ভীড় করে থাকতো আরো অনেকে। দাদারা, জেঠুরা, কাকারা, জ্যাঠতুতো দাদারা ছাড়াও পাড়ার অনেকে। কেউবা মাছ কিনতে, কেউবা আসতো চাইতে। এটা পুকুরে জাল দেওয়ার দিনগুলোর চেনা ছবি হলেও, পয়লা বৈশাখ যেন একটু বেশিই ভীড় হতো। তার মধ্যে মহামায়া ঠাকুমার হাজিরা ছিলো নিশ্চিত। যেখানে যার পুকুরেই জাল দেওয়া হোক না কেনো, সে ঠিক হাজির হয়ে যেতো। বলতো আমাকে একটা মাছ দেনা বাবা, আমার বুড়ো মা’টা না হলে খেতে পাবে না। আড়ালে মহামায়া ঠাকুমাকে সবাই ‘মহা বাউনি’ আর তার মাকে ‘শুটকি বাউনি’ বলতো। তাদের নিয়ে অনেক হাসি ঠাট্টাও করতো। ব্রাহ্মণ বাড়ির দুই বিধবা। মা আর মেয়েতে ছোট্ট সংসার। চেয়ে চিনতেই দিন চলতো, আয় বলতে নিজের গ্রাম আর পাশের গ্রাম মিলে মাত্র কঘর যজমান। তার মা সত্যিই খুব জীর্ণ ছিলো। শরীরে হাড় কখানা ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। সবাই মহা-ঠাকুমাকে দেখলেই বলতো, ওই চলে এলো চাইতে। অন্য দিন যে খাবার চেয়ে এনে চালায় পয়লা বৈশাখ সে তো চাইবেই। পুকুরের ধা