দইবড়া

কয়েকদিন আগে কলেজে আমার এক কলিগ দইবড়া খাইয়েছিলো। সেদিন তার থেকে রেসিপি জেনে নিয়ে ছিলাম। তারপর আজ হঠাৎ বানানোর ইচ্ছে হওয়ায় আবার গুগুলে সার্চ দিয়ে দইবড়ার রেসিপি পড়লাম। সবগুলোই পড়ে মনে হলো বড্ড হাঙ্গামা। এই মেশাও, সেই মেশাও, ওভার নাইট ডাল ভেজাও। বাপরে! পড়ার পর ধৈর্য হারিয়ে হাল ছেড়ে দেবার মতো অবস্থা হলো। তারপর ভাবলাম, নাঃ বাড়িতে যা আছে তাই দিয়েই বানাবো, দেখি কেমন হয়। তারপর আমি পদ্ধতি প্রায় একইরকম রেখে, বেশি জিনিস না মিশিয়ে আমার মতো সহজ করে শুরু করলাম।

দইবড়া

আমার মতো যদি কেউ সহজভাবে দইবড়া বানাতে চাও, তাদের জন্যে পদ্ধতিটা লিখে দিলাম।


১) প্রথমে বড় কাপের এককাপ বিউলির ডাল ভালো করে ধুয়ে ভেজালাম।


২) সাদা জিরে শুকনো ভেজে মিক্সিতে গুঁড়ো করলাম।


৩) ঘন্টা চারেক পর ডালটা আবার ভালো করে ধুয়ে, মিক্সিতে দিলাম। কাদা কাদা ডালবাটাকে সামান্য নুন দিয়ে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিলাম। সেটা এই রকম হলো।

(৩) ডালবাটা


৪) একটা বড় বাটিতে জল নিয়ে তাতে দু-চামচ নুন দিয়ে নুন-জল তৈরি করলাম। বড়াগুলো ভাজার পরে এর মধ্যে ভেজাতে হবে।


৫) তেল গরম করে ছাঁকা তেলে ডালের বড়াগুলো ভাজলাম।

(৫) বড়াগুলো তেলে ভাজা

৬) ভেজে ছেঁকে ছেঁকে টিস্যু পেপারের উপর রাখলাম, তেলটা টেনে নেওয়ার জন্যে।


৭) সেই বড়াগুলো নুন জলে মিনিট কুড়ি ভেজালাম। ফুলে পুরো পান্তুয়ার মতো হয়ে গেলো।

(৭) বড়াগুলো নুন জলে

৮) একটা বাটিতে টক দই এমনি নুন, একটু বিটনুন দিয়ে ফেঁটিয়ে রাখলাম।


৯) পান্তুয়ার মতো বড়াগুলো চিপে জল বের করে, আলাদা একটা বাটিতে রাখলাম।

(৮) জল চিপে রাখা বড়া
১০) বড়ার উপর ফেঁটানো দই, আর জিরে ভাজার গুঁড়ো ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখলাম।

(১০) বড়াগুলোর উপরে দই, জিরে ভাজার গুঁড়ো ছড়িয়ে

১১) খাবার সময় একটু তেঁতুলজল, ঝুরিভাজা আর ধনেপাতা ছড়িয়ে দইবড়া খেয়ে নিলাম।

প্রথমবার ট্রাই করেছি, সত্যি বলছি খেতে খুব ভালো হয়েছে। 😅

Comments

Popular posts from this blog

অন্ধকারের উৎস হতে

সবজিওয়ালা - ২

কুলকুলতির ব্রত