বিপুলা এ পৃথিবীর কতটুকু জানি
স্টেশনের বেঞ্চটা ভেজা দেখে বসবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না। ওই বেঞ্চে বসে থাকা এক ভদ্রলোক বললেন, "বসো ভেজা নেই।"
জানতে চাইলাম সত্যি ভেজা নেই?
বললেন, "না।"
বসে গেলাম।
উনি বললেন, "ভালো করে উঠে চেপে বসতে পারো। জল, নোংরা কিছুই নেই।"
বললাম, ঠিক আছে। বসেই একটু গুছিয়ে উদাসীন হলাম।
বললেন, "না।"
বসে গেলাম।
উনি বললেন, "ভালো করে উঠে চেপে বসতে পারো। জল, নোংরা কিছুই নেই।"
বললাম, ঠিক আছে। বসেই একটু গুছিয়ে উদাসীন হলাম।
প্রশ্ন শুরু করলেন -
-- “তোমার স্কুলে কবে ছুটি পড়বে?”
-- স্কুল নয় কলেজ।
-- “ও, কলেজে পড়ো?”
-- পড়ি না, পড়াই।
-- “ও আচ্ছা! কোন কলেজ?”
-- ওই দিকেই একটা কলেজ।
-- “বুঝেছি।” বলেই কলেজের নাম বললেন।
-- হুম!
-- স্কুল নয় কলেজ।
-- “ও, কলেজে পড়ো?”
-- পড়ি না, পড়াই।
-- “ও আচ্ছা! কোন কলেজ?”
-- ওই দিকেই একটা কলেজ।
-- “বুঝেছি।” বলেই কলেজের নাম বললেন।
-- হুম!
আজ আকাশের ঘন মেঘের সঙ্গে আমার খুব উদাসীন থাকতে ইচ্ছে করছিলো। একটুও কথা বলতে বা শুনতে ভালো লাগছিলো না। উনি এক মিনিট চুপ থেকেই আবার একতরফা শুরু করলেন - “ট্রেনটার টাইম এগারোটা সাত, কিন্তু রাইট টাইমে কখনো আসে না। দশ পনেরো মিনিট দেরি করেই থাকে।”
তাঁকে থামানোর জন্যে হাসিমুখে বললাম - আমি এই দিকের ট্রেনে যাতায়াত করি, জানি।
কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে আবার -
“আসলে তোমাদের কলেজটা তৈরি করেছেন যিনি সেই ভদ্রলোকের কেউ ছিলো না। অনেক টাকা পয়সা ছিলো। তাই তিনি বলেছিলেন, ‘এমন একটা কাজ করবো যেটা সবার কাজে লাগবে।’ আসলে কি জানো তো ওই এলাকার মেয়েরা যাতে প্রেম-ভালোবাসা করে চলে যেতে না পারে, সেই কথা ভেবে তৈরি।”
-- “তোমাদের কলেজে মেয়ের সংখ্যা বেশি তাই না?”
-- হুম।
-- “এখন মেয়েরাই বেশি পড়াশুনো করছে। ছেলেরা ফাঁকিবাজ, পড়তে চায় না। একশোটায় দশটা ছেলে পড়াশুনো করে।”
আমি একটু চমকে উঠেছিলাম। কিন্তু ওনার মুখের দিকে তাকাইনি।
-- হুম।
-- “এখন মেয়েরাই বেশি পড়াশুনো করছে। ছেলেরা ফাঁকিবাজ, পড়তে চায় না। একশোটায় দশটা ছেলে পড়াশুনো করে।”
আমি একটু চমকে উঠেছিলাম। কিন্তু ওনার মুখের দিকে তাকাইনি।
একটা হাই ইস্কুলের নাম করে বললেন, “সেখানেও তো তাই। পঁয়ষট্টি পারসেন্ট মেয়ে, পঁয়ত্রিশ পারসেন্ট ছেলে।” পারসেন্টেজ একটু বাড়লো। “ আজকাল তাই কি মুশকিল হয়েছে জানো তো, মেয়ের বাপেরা ভালো ছেলে পাচ্ছে না। সংখ্যায় মেয়েরা বেশি পড়ছে। ডাক্তার হচ্ছে, উকিল হচ্ছে, আর তাই ম্যাচিং ছেলে পাচ্ছে না। ছেলেরা তো ফাঁকিবাজ পড়ছে না, তাই মুশকিল। তুমিই বলো না তোমাদের কলেজে মেয়ে বেশি নয়?”
বললাম, হুম বেশি। তবে এটাও বলতে ইচ্ছে করছিলো, উচ্চ শিক্ষিত আর শিক্ষার উচ্চতা কিন্তু দুটো আলাদা জিনিস। তা দিয়ে ম্যাচিং না করাই ভালো। কথা বাড়ালাম না। তিনি শুরু করলেন -
বললাম, হুম বেশি। তবে এটাও বলতে ইচ্ছে করছিলো, উচ্চ শিক্ষিত আর শিক্ষার উচ্চতা কিন্তু দুটো আলাদা জিনিস। তা দিয়ে ম্যাচিং না করাই ভালো। কথা বাড়ালাম না। তিনি শুরু করলেন -
-- “তোমার বাড়ি কোথায়?”
-- যাদবপুর।
-- “যাদবপুরের কোথায় থাকো? ওই বাজারের দিকে?”
-- বললাম, হুম ওই বাজারের মধ্যে।
-- “কিসে আসো? মেট্রো?”
-- না, অটোয়।
-- “কত মাইনে দেয়?”
-- ভালোই, আমার চলে যায়।
-- “তাও কত? মানে বাস, অটো, অতো দূর থেকে আসা তো, তাই অনেক খরচ তো! তাও কত দেয়?”
-- মাইনের কথা সবাইকে বলতে নেই।
-- “ও, বলতে নেই না? তাই কেউ বলে না!”
-- যাদবপুর।
-- “যাদবপুরের কোথায় থাকো? ওই বাজারের দিকে?”
-- বললাম, হুম ওই বাজারের মধ্যে।
-- “কিসে আসো? মেট্রো?”
-- না, অটোয়।
-- “কত মাইনে দেয়?”
-- ভালোই, আমার চলে যায়।
-- “তাও কত? মানে বাস, অটো, অতো দূর থেকে আসা তো, তাই অনেক খরচ তো! তাও কত দেয়?”
-- মাইনের কথা সবাইকে বলতে নেই।
-- “ও, বলতে নেই না? তাই কেউ বলে না!”
আবার
“তোমাদের কলেজ যিনি করেছেন তার এক চাসতো নাতি আছে। তাকে কিছুটা জায়গা জমি দিয়ে ভদ্রলোক আরো অনেক কিছুর জন্যে জায়গা লিখে দিয়েছে। যেমন তোমাদের কলেজের পিছনে দেখবে একটা বিশাল ফাঁকা জায়গা আছে। ওটা হাঁসপাতাল করবে বলে, তারপর কলেজের সামনের দিকে দেখবে একটা মার্বেল কারখানা চলে, তোমাদের কলেজের সঙ্গেই একটা ইস্কুল। কলেজের নামটা তো ওই এলাকার এম এল এ দিয়েছে।”
“তোমাদের কলেজ যিনি করেছেন তার এক চাসতো নাতি আছে। তাকে কিছুটা জায়গা জমি দিয়ে ভদ্রলোক আরো অনেক কিছুর জন্যে জায়গা লিখে দিয়েছে। যেমন তোমাদের কলেজের পিছনে দেখবে একটা বিশাল ফাঁকা জায়গা আছে। ওটা হাঁসপাতাল করবে বলে, তারপর কলেজের সামনের দিকে দেখবে একটা মার্বেল কারখানা চলে, তোমাদের কলেজের সঙ্গেই একটা ইস্কুল। কলেজের নামটা তো ওই এলাকার এম এল এ দিয়েছে।”
-- “তোমাদের কলেজের ইনচার্জ কে?”
-- কলেজের ইনচার্জ মানে? আমাদের তো প্রিন্সিপ্যাল আছেন।
-- “না মানে পুরো কলেজের দায়িত্বে একজন থাকে না? তার কথা বলছি।
-- প্রেসিডেন্ট?
-- “হুম, ওই পেসিডেন্টের কথা বলছি।”
-- উনি অন্য একটা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন আগে।
-- “নাম কি?”
-- আবার হাসিমুখে বললাম, আমি না ঠিক নামটা জানি না।
-- “তুমি ফেরো কটায়?”
-- যেদিন যেমন ক্লাস থাকে সেই অনুযায়ী।
-- তাও? পাঁচটা অব্দি কলেজ হয়?
-- না, সাড়ে চারটে।
-- “এবার দেখবে তোমাদের কাজের চাপ বাড়বে। কাল তো দেখলাম কত ছেলেমেয়ে তোমাদের কলেজে ঢুকছে। মনে হয় সব ভর্তি হবে। দেখবে তখন একঘণ্টা করে সময় বেড়ে যাবে।”
-- হতাশ হয়েই চুপ থাকলাম।
-- “তুমি বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাও?”
-- হুম।
-- “নিয়ে যাওয়াই ভালো, না হলে বাইরের খাবার খেয়ে শরীর খারাপ হতে পারে।”
-- ঘাড় নাড়লাম।
-- “তোমাদের কলেজে ‘আন্ডারগাউন’ আছে তো?”
-- শব্দটা কানে খটমট লাগায় প্রশ্ন করলাম, কি?
-- “আন্ডারগাউন।”
-- বুঝে নিয়ে বললাম হ্যাঁ আছে।
-- “আচ্ছা তোমাদের কলেজে এক মোটা মতো, ফর্সা, ছোটো চুল সেই দিদিমণিটা আছে?”
-- বললাম কার কথা বলছেন, বুঝতে পারছি না। নাম বলুন।
-- “নামটা সিমলি নাকি কি একটা।”
-- ওই নামে আমাদের কোনো দিদিমণি নেই।
-- “তুমি কতদিন চাকরি করছো?”
-- সাত বছর মতো। তবে আমি ওই নামের কাউকে চিনি না।
একজন লোক অবাক হয়ে সব শুনছিলেন বলে, উনি একটু চুপ করে ছিলেন। তারপরেই আবার -
"তুমি যে জুতোটা পরে আছো সেটা খুব স্লিপ করে। পড়ে যেতে পারো। পাম্পশুগুলো ভালো হয়। বাটার কিটোগুলো ভালো হয় না। আমি আগে পরতাম।"
-- কলেজের ইনচার্জ মানে? আমাদের তো প্রিন্সিপ্যাল আছেন।
-- “না মানে পুরো কলেজের দায়িত্বে একজন থাকে না? তার কথা বলছি।
-- প্রেসিডেন্ট?
-- “হুম, ওই পেসিডেন্টের কথা বলছি।”
-- উনি অন্য একটা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন আগে।
-- “নাম কি?”
-- আবার হাসিমুখে বললাম, আমি না ঠিক নামটা জানি না।
-- “তুমি ফেরো কটায়?”
-- যেদিন যেমন ক্লাস থাকে সেই অনুযায়ী।
-- তাও? পাঁচটা অব্দি কলেজ হয়?
-- না, সাড়ে চারটে।
-- “এবার দেখবে তোমাদের কাজের চাপ বাড়বে। কাল তো দেখলাম কত ছেলেমেয়ে তোমাদের কলেজে ঢুকছে। মনে হয় সব ভর্তি হবে। দেখবে তখন একঘণ্টা করে সময় বেড়ে যাবে।”
-- হতাশ হয়েই চুপ থাকলাম।
-- “তুমি বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাও?”
-- হুম।
-- “নিয়ে যাওয়াই ভালো, না হলে বাইরের খাবার খেয়ে শরীর খারাপ হতে পারে।”
-- ঘাড় নাড়লাম।
-- “তোমাদের কলেজে ‘আন্ডারগাউন’ আছে তো?”
-- শব্দটা কানে খটমট লাগায় প্রশ্ন করলাম, কি?
-- “আন্ডারগাউন।”
-- বুঝে নিয়ে বললাম হ্যাঁ আছে।
-- “আচ্ছা তোমাদের কলেজে এক মোটা মতো, ফর্সা, ছোটো চুল সেই দিদিমণিটা আছে?”
-- বললাম কার কথা বলছেন, বুঝতে পারছি না। নাম বলুন।
-- “নামটা সিমলি নাকি কি একটা।”
-- ওই নামে আমাদের কোনো দিদিমণি নেই।
-- “তুমি কতদিন চাকরি করছো?”
-- সাত বছর মতো। তবে আমি ওই নামের কাউকে চিনি না।
একজন লোক অবাক হয়ে সব শুনছিলেন বলে, উনি একটু চুপ করে ছিলেন। তারপরেই আবার -
"তুমি যে জুতোটা পরে আছো সেটা খুব স্লিপ করে। পড়ে যেতে পারো। পাম্পশুগুলো ভালো হয়। বাটার কিটোগুলো ভালো হয় না। আমি আগে পরতাম।"
নির্বিকার বসে রইলাম।
একটু পরেই আমার এক কলিগ এসে একটা স্টলে জিজ্ঞেস করলো, “ট্রেন চলে গেছে?”
আমি বললাম না যায়নি। আমার কথা শুনতে না পেয়ে সে অন্যদিকে চলে গেলো। তখন উনি -
আমি বললাম না যায়নি। আমার কথা শুনতে না পেয়ে সে অন্যদিকে চলে গেলো। তখন উনি -
-- “চেনা নাকি?”
-- হুম।
-- “শুনতে পায়নি মনে হয়, না হলে তোমার সঙ্গে কথা বলতো।”
-- তাই হবে।
-- হুম।
-- “শুনতে পায়নি মনে হয়, না হলে তোমার সঙ্গে কথা বলতো।”
-- তাই হবে।
-- “তোমার স্কুলে কবে ছুটি?”
-- তাকালাম।
-- “হোলির ছুটি কবে পড়বে?”
-- আমাদের কলেজে কবে ছুটি দেবে আমি জানি না।
-- “যদিও হোলি রবিবার, তবুও অনেক জায়গায় তো শুক্রবার থেকেই ছুটি দিয়ে দেবে।”
-- তাকালাম।
-- “হোলির ছুটি কবে পড়বে?”
-- আমাদের কলেজে কবে ছুটি দেবে আমি জানি না।
-- “যদিও হোলি রবিবার, তবুও অনেক জায়গায় তো শুক্রবার থেকেই ছুটি দিয়ে দেবে।”
ট্রেনের হর্ন শুনে উঠে গেলাম। ভাবতে থাকলাম কত মানুষের কাছে কত কিছুই অজানা। আমারো তাই।
“আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না।
এই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা।”
এই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা।”
মহিলা কামরা। ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি এলো। বৃষ্টিও কামরা দেখলো। প্রচণ্ড কোলাহল। ফোনের ওপর ফোন। কারো ছাদে জামা-কাপড় ভিজে যাচ্ছে, কারো বা গ্যাসের ওপরের দিকে জানলা বন্ধ করা দরকার। আমি বৃষ্টি ভালোবাসি। চুপচাপ বসে কবিতার লাইন মাথায় এলো -
এ- গাছ ও- গাছ উড়ছে পাখি,
বলছে পাখি, “ এই অরণ্যে
কবির জন্যে আমরা থাকি।”
বলছে পাখি, “ এই অরণ্যে
কবির জন্যে আমরা থাকি।”
একটু পরে আমার কলিগ এসে কানে কানে বললো, “জানিস, আমার টাটার ফোনটা চুরি গেছে।” লেবুওলা-পিন্টুকে ডেকে নিয়ে গেলো চোর ধরার জন্যে। আমিও গেলাম। পিন্টু কিছুই করলো না। দুজনেই একটু বিমর্ষ হয়ে নেমে গেলাম। একইভাবে আমার ফোন হারিয়ে ছিলো। সেই গল্প শুরু হলো।
কলেজ ঢুকেই ছাত্রীদের আবদার, “ম্যাম আপনার সঙ্গে সেলফি তুলবো।” আবদার মেটানো হলো।
ফেরার ট্রেন। বসার জায়গা ছিলো না। দরজার কাছে একটা ফাঁকা জায়গা দেখে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এক পেয়ারাওলা খুব জোর করছিলো পেয়ারা কেনার জন্যে।
“দেশি পেয়ারা, খুব মিষ্টি, বিষ দেওয়া নয়।”
আমি আজ সুযোগ আছে দেখে তার থেকে জানতে চাইলাম - কটার সময় পেয়ারা বেচা শুরু করে, কত ঝুড়ি বিক্রি হয়, কোথা থেকে নিয়ে আসে? সে খুব খুশি হয়ে একগাল হেসে বলতে শুরু করলো - “সারাদিনে ছশো টাকা মতো হয়। এই তো বাড়ি যেতে যেতে এগুলোও শেষ হয়ে যাবে। বাড়ি তো অনেক দূর, সেই ক্যানিং। আর সকালে বারুইপুরে এসে পেয়ারা তুলি। আজ জামরুলও এনেছিলাম। সেগুলো বিক্রি হয়ে গেছে।” নেমে এলাম।
“দেশি পেয়ারা, খুব মিষ্টি, বিষ দেওয়া নয়।”
আমি আজ সুযোগ আছে দেখে তার থেকে জানতে চাইলাম - কটার সময় পেয়ারা বেচা শুরু করে, কত ঝুড়ি বিক্রি হয়, কোথা থেকে নিয়ে আসে? সে খুব খুশি হয়ে একগাল হেসে বলতে শুরু করলো - “সারাদিনে ছশো টাকা মতো হয়। এই তো বাড়ি যেতে যেতে এগুলোও শেষ হয়ে যাবে। বাড়ি তো অনেক দূর, সেই ক্যানিং। আর সকালে বারুইপুরে এসে পেয়ারা তুলি। আজ জামরুলও এনেছিলাম। সেগুলো বিক্রি হয়ে গেছে।” নেমে এলাম।
ছেলে বলেছিলো, “মা, ফুলের আবির এনো। রঙ খেলবো।” তার মনের নানারঙের সঙ্গে মিলিয়ে অনেক আবির এনেছি। তাকে রাঙিয়ে দেবো। সবার দোল উৎসব শুভ হোক।
বাড়ি ফিরে আয়না দেখলাম। চোখে মুখে ক্লান্তির কালি, দুটো গালে একটু কালো ছোপ উঁকি দিতে শুরু করেছে। কপালেও রিংকেলস, হেনা বা কালারের অভাবে কিছু সাদা চুলও বুঝিয়ে দিলো তুমি আর স্কুল পড়া মেয়ে নও। কিন্তু লোকে সেটা বিশ্বাস করতে পারে না। দুবার শুধরে দেওয়া সত্ত্বেও ওই ভদ্রলোক আজ শেষ অব্দি স্কুল পড়ুয়াই ভাবলেন।
অনেককিছু ব্যাপারে আমি নিজেও নিজেকে সবসময় বিশ্বাস করতে পারি না। আস্থা হারাই।
Comments
Post a Comment