পার্টি

ছোটবেলা থেকেই আমার কোনো পার্টির প্রতি কোনো ভালবাসা ছিল না। রাজনীতি বুঝতাম না, আজও বুঝি না। যেটুকু আছে তা হলো কিছু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা।
ছোট থেকেই জানতাম আমার বাড়ির লোকেরা কংগ্রেস। তারা কংগ্রেসকে ভোট দিত। ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর ছবি বাড়িতে টাঙানো দেখতাম। এর বেশি আমি কিছু জানতাম না, কারো সঙ্গে তেমন করে কথাও হয়নি কখনো।
আমাদের গ্রামটা খুব ছোটো। জনসংখ্যা কম ছিলো বলে ভোটের জন্য গ্রামে বুথ হতো না, পাশের গ্রামে ভোট দিতে যেতো সবাই। আজকাল অবশ্য যেতে হয়না। বছর পাঁচেক হলো গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে ভোটের বুথ হচ্ছে। এখন লোকসংখ্যাও বেড়েছে, পার্টির সংখ্যাও। আমার ছোটোবেলায় ছিলো মাত্র দুটো দল – কংগ্রেস আর সি পি এম।
আমাদের গ্রামে মাঝে মাঝেই মিছিল বেরোতো, ভোটের আগে বেশি করে বেরোতো। রাজনীতি বলতে সেই ব্যাপারটাই আমি খুব উপভোগ করতাম। আমাদের পুকুর পাড় দিয়ে মিছিল যেতো, আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে লোক গুণতাম – কাদের দলে কটা। আমি যখন একদম ছোট তখন ব্যাপারটা মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। মিছিলটাও বেশ পালা করেই হতো। আজ যদি একটা দল বেরোয় তো কাল অন্য দল।
তবুও আমাদের ওখানকার কংগ্রেস ছিলো তুলনায় নিরীহ। একটু বড় হবার পর দেখলাম সি পি এমের দাপট আরো বেড়ে গেল। এলাকায় সি পি এমের এক প্রচন্ড দাপুটে নেতা ছিলেন, যিনি পরপর কয়েকবার বিশাল ভোটে জিতে রেকর্ড করেছিলেন, আবার ইদানীংকালে অনেক ঘটনায় কুখ্যাত হয়েছেন। সেই নেতার চুনোপুঁটিরাও কোনো অংশে কম ছিলো না। নিয়ম তারাই জারি করতো – কবে দোকানপাট খোলা থাকবে, কবে বন্ধ রাখতে হবে। জমিতে চাষ করতে পারবে, নাকি পারবেনা। কোনো কংগ্রেস সমর্থকের উপর যদি খুব রাগ থাকে তাহলে তার জমিতে কোনো লেবার দেওয়া হবেনা। সকলই তাদের ইচ্ছা। এমনকি একটা সময় তারা ভোট দিতে যাওয়াটাও বন্ধ করে দিতে পেরেছিলো – ভোটের আগে বিপক্ষ সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বারণ করে। আমার মনে আছে, আমাদের বাড়িতে এসে তারা মা’কে বলে গিয়েছিলো – “মামী ভোটটা দিতে যাওয়ার দরকার নেই, দিলে ভালো হবেনা কিন্তু বলে দিলাম। বুঝতেই পারছো ছেলেপুলে নিয়ে খেয়ে পরে থাকতে হলে … ”। বহুদিন আমাদের বাড়ির কেউ ভোট দিতে যায়নি।
মনে পড়ে আমার এক জাঠতুতো দাদা একবার পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস থেকে দাঁড়িয়েছিলো। সেবার সি পি এমের মিছিলটা মেন রাস্তা ছেড়ে, একটু ভিতরে আমাদের বাড়ির লাগোয়া রাস্তা দিয়ে গেছিলো। যাওয়ার সময় আমাদের বাড়িতে প্রচুর ঢিল ছুঁড়েছিলো – ভয় দেখানোর জন্য। গ্রামের আরো দু-চারটে বাড়িতেও একই কাজ করেছিলো। সেবার আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। তাদের মিছিলের শ্লোগান সব সময় – “কংগ্রেসের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।” শ্লোগানে কখনো কখনো নোংরা ইঙ্গিতও থাকতো। যেবার আমার জাঠতুতো দাদা দাঁড়িয়ে ছিলো সেবার একটা শ্লোগান ছিলো এরকম – অমুক ঘোষের কোলে, অমুক দোলে। দ্বিতীয় অমুক কংগ্রেসেরই অন্য আর একজন মহিলা প্রার্থী।
আমার আর এক জাঠতুতো দাদা একটু রাজনীতির বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভালোবাসতো। আজও ভালোবাসে, শুধু রংটা বদলে গেছে। সে রোজ পেপার নিতো, আমি তার থেকেই পেপারটা পড়ে নিতাম। তারপর সে কখনো কখনো আমাকে বলতো কোন গ্রামে সি পি এম কি অত্যাচার করেছে। তারমধ্যে একটা খবর মনে পড়ে কোনো একটা গ্রামে, নামটা মনে নেই একজনদের বাড়িতে আগুন দিয়ে শুকনো লঙ্কা ছুঁড়ে দিয়ে চলে গেছিলো। এরকম রোজই পড়তাম কার বাড়ি ভাঙচুর, কার গোয়ালে গরু পুড়িয়ে দেওয়া, কার ধানের গাদায় আগুন, লেগেই থাকতো। তবে এটা কখনো ভাবিনি যে এই বাড়ি ভাঙার নির্মম শব্দ নিজের কানে শুনতে হবে। সে এক ভয়ঙ্কর দিন, ভাবলে এখনো গায়ে কাঁটা দেয়।
আমাদের গ্রামে তখন সবে সবে তৃণমূলের তৃণ গজিয়ে উঠছে। মিটিং মিছিল শুরু। কয়েকজন নেতার নামও শোনা যাচ্ছে। একদিন তাদের মিছিলে আমার ছোড়দাকে ডেকেছিলো শ্লোগান দেওয়ার জন্য। ছোড়দাকে আমি ভাই বলি। ভাই তার পরিণতি না ভেবে দিব্বি নাচতে নাচতে চলে গেছিলো। হঠাৎ সি পি এমের লোকেরা মিছিলের মধ্যে এসে তৃণমূলের নেতাকে বেধড়ক পেটাতেই মিছিল ভেঙে সব লোক ভয়ে এদিক-ওদিক দৌড় দিলো। ভাইয়ের কেমন মায়া হলো সে যেতে পারলো না। রাস্তার পাশে একজনের বাড়ি থেকে জল এনে পড়ে থাকা লোকটার মুখে দিচ্ছিলো। এমন সময় কয়েকজন লাঠি নিয়ে তেড়ে আসায় সেও আর সাতপাঁচ না ভেবে পড়িমরি করে ঝোপঝাড় ডিঙিয়ে দৌড় দিয়েছিল – নিজে সে যাত্রায় বেঁচেছিলো। তবে বাঁচাতে পারেনি আমার সাইকেলটাকে। সেটা সি পি এমের লোকরা ওখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছিলো বহুমাস। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তাদের টাকা দিয়ে উদ্ধার হয়েছিলো আমার সাইকেল। এর থেকে বেশি কিছু ক্ষতি আমাদের হয়নি। তবে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়েছিলো ওই মিছিলে যাওয়ার জন্য। ঐ সময় তৃণমূলের সক্রিয় নেতা যারা ছিলো তারা আর বাড়ি ঢুকতে পারেনি। দীর্ঘদিন ঘর ছাড়া হয়ে থাকতে হয়েছিলো। ঘর ছাড়াদের মধ্যে আমার এক জাঠতুতো দাদা আর পিসতুতো দাদাও ছিলো।
গ্রীষ্মের একটা দুপুর ছিলো সত্যিই ভয়াবহ। আমি আর সেজদা ভাত খেয়ে জাস্ট হাতটা ধুয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়েছি। হঠাৎ দেখি একদল লোক রে রে করে লাঠিসোঁটা, বাঁশ, বল্লম, কোঁচা নিয়ে আমাদের পাড়ার দিকে ধেয়ে আসছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা দুজনে ঢুকে খিল লাগিয়ে দিয়ে চিৎকার করে বাড়ির আরো সবাইকে ডেকে নিয়ে দোতলায় উঠে গেলাম। একটু পরে আমাদের বাড়ির দিকে আসার আওয়াজটা পেলাম না, আওয়াজটা মেন রাস্তা দিয়ে চলে গেলো। পাশের বাড়ির কাকু চিৎকার করে বললো – “আমাদের আর ভয় নেই। আমি কাস্তে হাতুড়ি মার্কা লাল ঝাণ্ডাটা লম্বা বাঁশ দিয়ে উঠোনে পুঁতে দিয়েছি। ওরা সেটা দেখতে পেয়েই চলে গেছে।” তার পর মুহূর্তেই কানে ভেসে আসতে থাকলো ঘর ভাঙা আর কান্নার শব্দ। ঠিক কান্না নয়, ছিলো আর্তনাদ। আমি, বৌদি আর বোন ভয়ে কাঁদছিলাম। দাদা ধমক দিয়ে আমাদের থামিয়েছিলো। আমার হাত-পা রীতিমতো থরথর করে কাঁপছিলো। দাদা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার চেষ্টা করছিলো, আমাদেরকে সামলানোর মতো অবস্থায় ছিলো না। ঘরবাড়ি ভাঙার শব্দটা আসছিলো প্রধান যে দুজন তৃণমূল নেতা তাদের একজনের বাড়ি থেকে। তার বাড়িটা আমাদের বাড়ি থেকে সামান্য দূরে, তাই আমাদের বারান্দা থেকে আওয়াজটা এতো স্পষ্ট আসছিলো, মনে হচ্ছিলো যেন আমার মাথাতেই মারছে। ওদের বাড়ি ভাঙা শেষে তারা অন্য নেতার বাড়িটাও ভেঙে চুরমার করেছিলো। শুধু বাড়ি ভেঙেই তারা ক্ষান্ত থাকেনি, তার সঙ্গে তাদের দামিদামি জিনিস, গয়নাগাটি লুঠপাট, ধানের মড়াই ভেঙে ধান, ভাত, মুড়ি সব মাটির সঙ্গে মিশিয়ে উদম নেত্য করেছিলো। আমি তো শুধু আওয়াজটুকু শুনেছিলাম, সেই বাড়ির লোকগুলোর কি হয়েছিলো? তাদের হৃদপিণ্ডটা থেমে গেলেও হয়তো কেউ এতোটুকু অবাক হোতো না! পরে জেনেছিলাম – সেই বিধ্বংসী দলের যে পাণ্ডা সে আমার বড়দার ক্লাসমেট ছিলো, ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের খাতিরে সে দলকে ঘুরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে গিয়েছিলো। বলেছিলো – তোরা ভুল দিকে চলে এসেছিস!
লাঠিসোঁটা নিয়ে রে রে করে আসা লোকগুলো কিন্তু অন্য একটা শ্রেণী। পার্টির ওপরতলার লোকেরা ওদেরকে একটু মদ ঘুষ দিলেই ওরা সানন্দে রে রে করতে রাজি হয়ে যেতো। ওদের নিজস্ব কোনো রঙ নেই। আজ যারা ক্ষমতায় তারাও অমন ঘুষ দিলে আজ তাদের হয়ে রে রে করবে। তাদের একটা পাড়া আছে। ওই পাড়া দিয়ে আমাকে স্কুলে যেতে হতো। যদিও আমার কোনো ক্ষতিই তারা করেনি, তবুও আমি একটু ভয় পেতাম। যেকোনো বিষয়েই মারপিটটা তাদের দিয়ে করানো হতো, তাই আমার এতো ভয় ছিলো। পার্টিগত ঝামেলায় একবার আমাদের গ্রামে মেলা, যাত্রা, গাজন সব বন্ধ হয়ে গেছিলো। মেলাটা আবার চালু হয়েছে, গাজনটা বন্ধ। তবে সব ঝামেলার মূলে কিন্তু ছিলো ওই পাশের গ্রাম। আর মারপিটে ওই পাড়া।
সেই ভাঙচুরের ঘটনার আফটার এফেক্ট – গোটা গ্রাম থমথমে। কারো মুখে কথা নেই, হাসি নেই! আলোচনা হলেই আবার কি বিপদ নেমে আসে কে জানে! কানাঘুষো শোনা যেতো এরপর কার ঘর ভাঙা হবে। চেনা মানুষগুলোও সব অচেনা হয়ে গেলো রঙের হেরফেরে। পাড়ার নিরীহ মানুষগুলো যারা রঙ না মেনে সকাল সন্ধ্যে চায়ের দোকানে আড্ডা বসাতো, খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হাসিঠাট্টা করে মজা পেতো, তারাও আর সে তল্লাটে যেতে চাইলো না। সবার চোখে মুখে একটা ভয়ের বিভীষিকা দেখা দিলো। দলবেঁধে, জটলা পাকিয়ে গল্প করাটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো কিছুদিন।
কয়েকদিন পর আবার একটা ভয়ঙ্কর খবরে ঘুম ভাঙলো। আমাদের গ্রামে সি পি এমের একটা পার্টি অফিস ছিলো, সেটা জ্বলছে। মাটির অফিস, খড়ের চাল। তাই জ্বালিয়ে দিতে কোনো অসুবিধাই হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শোনা গেলো অফিসের ভিতরের কোনো জিনিসই নাকি পোড়েনি। আসবাব, কাগজপত্র সবই অক্ষত ছিলো অন্য জায়গায়। ওরা নাকি আগে থেকে সব সরিয়ে নিয়েছিলো। এটা ওদের একটা চাল ছিলো নিজেরা অফিসটা ধরিয়ে দিয়েছিলো তৃণমূলের নামে দোষ চাপানোর জন্যে।
গ্রামের আর এক দাদা সক্রিয় তৃণমূল করতো। একেবারে “দিদি” বলতে অজ্ঞান। কিন্তু ফল ভোগ করতে হয়েছিলো তার বাবাকে। সি পি এম নেতারা এসে তাদের বাড়িতে বলে গেছিলো “তোমাদের জমিতে কোনো লেবার দেওয়া হবে না, তোমরা লোক দিয়ে চাষ করতে পারবে না।” বেচারি জেঠু ছিলো পুরোহিত। লাঙল ধরা তো দূরের কথা কোনোদিন কোদাল দিয়ে মাটি কুপোনোর অভ্যেসটুকু ছিলো কিনা কে জানে! কিন্তু সেই বছর জেঠু পুরো জমিটা কোদাল দিয়ে একটু একটু করে কুপিয়েই চাষ করেছিলো।
কম বয়েসি কেউ কেউ চাকরি পাবার আশায় কিছুদিন মিছিলে ঘুরলো, পার্টি করলো। তাদের অনেকেই বেশ তাড়াতাড়ি সরকারী চাকরি পেয়ে গেলো। এক নেতা অন্যের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার ঝেপে দিয়ে সেটাকে জাল করে নিজের ছেলেকে সরকারি চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। সেই ছেলে দিব্যি চাকরি করেও ছিলো একবছর। সবাই এর ওর মুখ চাওয়াচাওয়ি করতো, কিন্তু তার মুখের ওপর কিছুই বলতে পারেনি। সত্যি ফাঁস হওয়ার পরে তার ছেলেকে অবশ্য চাকরি ছাড়তে হয়েছিলো, তবে তেমন কোনো শাস্তি পেতে হয়নি।
তারপর এই কয়েক বছর আগে, তৃণ যখন বৃক্ষে পরিণত হয়ে সি পি এম কে নির্মূল করলো তখন গ্রামের নেতা হয়ে গেলো ওই পুরোহিত জেঠুর ছেলে, আমার জাঠতুতো দাদা, পাড়ার আরো কয়েকজন। এখন গ্রামে আর সেভাবে যাওয়া হয়ে ওঠে না, তবে সব খবরই কানে আসে মোটামুটি। শোনা গেলো তৃণমূল দলটারই দুটো ভাগ হয়ে গেছে। একদলে আমার জেঠুর ছেলেরাসহ পাড়ার আরো কয়েকজন নেতৃত্ব দেয়, অন্য দলে ওই পুরোহিত জেঠুর ছেলে। এদের দু-দলের মধ্যে একদিন তুমুল মারামারি হয়ে গেছে। রাতের অন্ধকারে পুলিশ এসে তুমুল মেরে ভ্যানে করে তুলেও নিয়ে গেছিলো দু-দলকেই। কয়েকদিন বোধহয় হাজতবাসও করতে হলো। এক্ষেত্রেও আমার ভাইকে পুলিশের লাঠির গুঁতো খেতে হয়েছিলো বিনা অপরাধে, কারণ জেঠুর বাড়িতে পুলিশ এসেছে শুনে সে গিয়ে পড়েছিল। বেচারা ভুগেছিলো বেশ কয়েকদিন।
গ্রামে খেয়ে পরে, বেঁচেবর্তে থাকার জন্য বা কিছু কিছু সুবিধা ভোগ করার জন্য তখন যেমন অনেকে সি পি এম এ নাম লিখিয়ে ছিলো, আজ তেমন তৃণমূলেও লিখিয়েছে। তারাই এখন রাজা। তাদের রক্তচক্ষু দেখে সি পি এমও আজ জুজু। একদিন যে সি পি এম নেতার দাপটে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেতো, পুজোর সময় গিয়ে শুনলাম তাকে এক তৃণমূল নেতা ফেলে জুতো দিয়ে মেরেছে। তাই দেখে তৃণমের অন্য দল বলেছে – ছি ছি এটা উচিত হয়নি। যতই হোক ওর থেকে বয়সে তো বড়ো।
নিয়ম করে ভোটের প্রতিশ্রুতি দেওয়া তখনো ছিলো, এখনো আছে। ভোটটা বহুকাল নিয়ম মেনে হতো না, গতবারে হয়েছিলো। কে জানে সামনের বার হবে কিনা। কিন্তু তাতে কি? গ্রামের রাস্তা-ঘাট, পরিবেশ, সামাজিক পরিস্থিতি তখনো যা ছিলো আজো তাই আছে। মানুষগুলো সব এক। যখন যে কিছুটা ক্ষমতা পেয়ে যায়, সে সেটা যেভাবে খুশি প্রয়োগ করে। আমাদের গ্রামে এখন মারামারিটা একটু কম হয়। তবে অন্যান্য জায়গায় অনেক কিছু হয়, খবরে শুনি। এই পার্টিই যখন আবার কোনো প্রতিপক্ষের সামনে আসবে, তখন হয়তো মারপিট করে, ঘর ভেঙে, হুমকি দিয়ে ভোট দিতে যাওয়া বন্ধ করে ভোটে জেতার চেষ্টা করবে।
আসলে দল বা পার্টি বলে কিছু হয়না।

Comments

Popular posts from this blog

অন্ধকারের উৎস হতে

সবজিওয়ালা - ২

কুলকুলতির ব্রত